টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ অস্ত্রধারী রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী নিহত

গিয়াস উদ্দিন ভূলু • কক্সবাজার জার্নাল

টেকনাফে গভীর রাতে পুলিশের সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ অস্ত্রধারী এক রোহিঙ্গা ডাকাত নিহত। উক্ত ঘটনায় তিন পুলিশ আহত,অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার।

তথ্য সূত্রে জানা যায়, ১৫ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত ১টার দিকে হ্নীলা নয়াপাড়া মোচনী রেজিষ্টার্ড ক্যাম্পের সি বল্ক এলাকার পশ্চিম পাহাড়ে অপরাধ সংঘটিত করার জন্য ডাকাত দলের বেশ কয়েকজন সদস্য অবস্থান করেছে।
সেই গোপন সংবাদের তথ্য অনুযায়ী ওসি প্রদীপের নেতৃত্বে টেকনাফ থানা পুলিশের একটি দল ঐ এলাকায় অভিযানে গেলে ডাকাত দলের সদস্যরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তাদের লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ী গুলি বর্ষন করতে থাকে। এতে এসআই সুজিতসহ পুলিশের ৩ সদস্য গুরুতর আহত হয়। এরপর পুলিশ সদস্যরা আত্মরক্ষার্থে গুলি বর্ষন শুরু করলে ডাকাত দলের সদস্যরা পিছু হটে পাহাড়ের দিকে পালিয়ে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসার পর ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এক ব্যাক্তিকে পড়ে থাকতে দেখা যায়।

এরপর পুলিশ সদস্যরা তাকে দ্রুত উদ্ধার করে টেকনাফ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করে।
সেখানে পৌছার পর দায়িত্বরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষানা করে।

এদিকে ঘটনাস্থল তল্লাশী করে ২টি দেশীয় তৈরী এলজি বন্দুক, ১০ রাউন্ড তাজা কার্তুজ, ৬ রাউন্ড খালী খোসা উদ্ধার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হওয়া ব্যাক্তি হচ্ছে,হ্নীলা নয়াপাড়া মোচনী রেজিষ্টার্ড ক্যাম্প সি বল্কের এলাকার মৃত আলী আহাম্মদের পুত্র হাবিব উল্লাহ(৪০)। তার এমআরসি নং- ২৭১৪,শেড নং-৮৯৩,রুম নং-৬।

এই অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করে (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ কক্সবাজার জার্নালকে জানান, টেকনাফ উপজেলার আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য মাদক পাচার প্রতিরোধ করার পাশাপাশি যে সমস্ত অপরাধীরা এখনো সক্রিয় হয়ে নানা প্রকার অপরাধ কর্মকান্ড সৃষ্টি করছে। সেই সমস্ত সন্ত্রাসী ও ডাকাতদের চিরতরে নির্মুল করার জন্য আমাদের পুলিশ সদস্য এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।

উল্লেখ্য, গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে এই পর্যন্ত যুবলীগ নেতা ফারুক হত্যা মামলার প্রধান আসামীসহ সর্বমোট ৭জন অস্ত্রধারী রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী নিহত হলো।